ঈশ্বরের অপূর্ব সৃষ্টি বর্তমানে মানুষ নানাভাবে ধ্বংস করছে। মানুষ লোভ ও নিজের স্বার্থের জন্য প্রকৃতির অপব্যবহার করছে। বর্তমানে নানারকম তথ্যপ্রযুক্তি, উড়োজাহাজ ও যানবাহনের কারণে মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে; কিন্তু মানুষের জীবনযাত্রা অনেক জটিলও হয়ে গেছে। অতিমাত্রায় ভোগবাদ, আত্মকেন্দ্রিকতা, লোভ লালসা ও উদাসীনতার কারণে সৃষ্ট, প্রকৃতি, বন- বৃক্ষ নিধন, বাতাসে অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড, কালোধোঁয়া, বায়ুদূষণ, দুর্গন্ধময় জল ও জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে। তাছাড়াও শব্দদূষণ, জীববৈচিত্র্য হ্রাস, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি-বন্যা, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বপ্রকৃতিকে বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পশু-পাখি ও জীব-জন্তুকে নানাভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। তাই বিপন্ন প্রকৃতি আর্তনাদ করছে।
এই বিপন্ন অবস্থার কথা রোমীয়দের কাছে পত্রে সাধু পৌল বলেছেন- "বিশ্বসৃষ্টি অবক্ষয়ের হাত থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় আছে। কারণ তাকে অসারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সে অবক্ষয় থেকে মুক্ত হয়ে ঈশ্বর সন্তানদের গৌরবময় স্বাধীনতায় অংশ নেবার অপেক্ষায় আছে। সমগ্র সৃষ্টি আজ আর্তনাদ করছে- প্রসব বেদনা ভোগ করছে। (রোমীয় ৮: ১৮-২৪)। এই বিপন্ন পৃথিবীকে সুরক্ষা দেবার ও যত্ন নেবার দায়িত্ব ঈশ্বর মানুষকে দিয়েছেন। প্রকৃতির আর্তনাদ শুনতে হবে। ধ্বংসের কবল থেকে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীবজগতকে রক্ষা করতে হবে।
ক) নিজে করি।
ধ্বংস কবলিত ও বিপন্ন পৃথিবী নিয়ে আমাদের ভাবনা ও অনুভূতি আলোচনা করি।
খ) ভেবে বলি।
পরিবেশ ও জীবজগৎ কীভাবে ধ্বংস হচ্ছে তার তিনটি কারণ বলি।
গ) ভেবে লিখি।
- মানুষের স্বার্থপরতার কারণে প্রকৃতি ও জীবজগৎ ধ্বংস হচ্ছে। সমগ্র সৃষ্টি আজ আর্তনাদ করছে যেন প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। বিশ্ব প্রকৃতি ও জীবজগৎ রক্ষা করার দায়িত্ব মানুষের।
আরও দেখুন...